খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ ফাল্গুন, ১৪৩১ | ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনায় মামলা দায়ের, আসামি অজ্ঞাত পরিচয় ৪০০/৫০০ ব্যক্তি

চুক্তিভঙ্গ করায় স্টল বন্ধ, ফ্রি স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ চলবে : বাংলা একাডেমি

গেজেট ডেস্ক

অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রির একটি স্টল বন্ধ করা হয়েছে। মেলা পরিচালনা কমিটি বলছে, স্যানিটারি ন্যাপকিন বা ডায়াপার বিষয় নয়। অনুমোদন না থাকায় স্টলটি বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা চলছে। বিষয়টি নিয়ে এরইমধ্যে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করেছে বাংলা একাডেমি।

রোববার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাতে বাংলা একাডেমি মহাপরিচালক অধ্যাপক মোহাম্মদ আজম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেছেন, বইমেলায় বিনামূল্যে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে তিনি বলেন, বাংলা একাডেমি আয়োজিত অমর একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন ও ডায়াপার বিক্রি সংক্রান্ত একটা ইস্যু বহুজনের দৃষ্টি-আকর্ষণ করেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ও ফোনে বহুজন আমাদের কাছে তাদের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। এ পরিপ্রেক্ষিতে বিষয়টি সম্পর্কে বিশদ জানানো জরুরি হয়ে পড়েছে।

বাংলা একাডেমি আয়োজক হলেও বইমেলার প্রয়োজনীয় কাজগুলো ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান করে থাকে। এবার এ দায়িত্ব পেয়েছেন ড্রিমার ডংকি। ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান স্পন্সরের সহায়তায় কাজটি করে থাকে। তবে তাদের কাজ করতে হয় মেলার নীতিমালা মেনে। এবার স্পন্সর ঠিক করার ক্ষেত্রে সংখ্যা এবং ধরণ বিবেচনায় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বেশ কিছু নীতি লঙ্ঘন করেছে। তারমধ্যে একটি হলো অনুমতি না নিয়েই মেলার যত্রতত্র পণ্য- বিপণনের ব্যবস্থা করা। আমরা প্রথম থেকেই এ ব্যাপারে বাধা দিয়ে আসছি। কিন্তু তারা নানা অজুহাতে নীতিমালা লঙ্ঘন করেছে।

তিনি বলেন, স্যানিটারি ন্যাপকিন এবং ডায়াপার বিষয়ে তারা আমাদের জানিয়েছিল ওয়াশরুমের পাশে রেখে নারী ও শিশুদের প্রয়োজনমতো বিনামূল্যে এসব পণ্য সরবরাহ করবে। কিন্তু মেলা কর্তৃপক্ষ দেখতে পায় তারা এ দুই পণ্যসহ আরও কিছু পণ্য বিক্রি করছে। ফলে তাদের স্টল বন্ধ করতে বলা হয়। শুধু স্যানিটারি ন্যাপকিন নয় বরং ডায়াপার, পেস্ট ও ব্রাশসহ আরও কিছু পণ্যের ক্ষেত্রে এ ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। কিন্তু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান বারবার কথা দিয়ে কথা রাখছিল না। আমরা মাঝখানে তিনদিন নিজেদের উদ্যোগে স্টল দুটি বন্ধ করে রেখেছিলাম। তাদের অনুরোধে শুধু কাগজ, পেন্সিল, কলম জাতীয় শিশুদের কিছু দ্রব্য বইমেলার শিশুকর্নারে বিক্রির অনুমতি দেওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, এমতাবস্থায় ইভেন্ট কোম্পানি জানায়, স্পন্সর কোম্পানির সঙ্গে তাদের চুক্তি হয়ে গেছে বিধায় তারা বিপদে পড়েছে।

এরসঙ্গে বাংলা একাডেমীর সম্পৃক্ততা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, এসব চুক্তির সঙ্গে একাডেমির কোনো সম্পর্ক থাকে না। তারা বলল, একটা চিঠি তারা স্পন্সর কোম্পানিকে দেবে, যেখানে বলা হবে ন্যাপকিন বিক্রি করলে সমস্যা হবে। তাদের কাজটা সহজ করার জন্যই কেবল বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক চিঠিতে সম্মতিসূচক স্বাক্ষর করেছেন। এ চিঠি বাংলা একাডেমি দেয়নি। আর কেউ স্যানিটারি ন্যাপকিন বন্ধ করার কথা বাংলা একাডেমিকে বলেও নি। আমরা অনেকগুলো পণ্য সম্পর্কে কথা বলেছি। কিন্তু ইভেন্ট, স্পন্সরসহ বিভিন্ন পক্ষ শুধু ন্যাপকিনের ব্যাপারটিকেই প্রধান করে তুলেছে।

সামনের দিনগুলোতে স্যানিটারি ন্যাপকিন বিতরণ অব্যাহত থাকবে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা স্পষ্ট করে বলতে চাই, স্যানিটারি ন্যাপকিনের প্রসার ও ব্যবহার সম্পর্কে বাংলা একাডেমির কোনো প্রকার সংকোচ থাকার প্রশ্নই আসে না। বইমেলার পণ্যায়নের একটা ব্যাপার স্পর্শকাতর ইস্যু হয়ে অন্যভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তার প্রমাণ, একদিকে আমরা অন্য অনেকগুলো পণ্যের ক্ষেত্রেও একই ব্যবস্থা নিয়েছি। অন্যদিকে ইভেন্টকে বলেছি, সৌজন্য হিসেবে তারা যেন স্যানিটারি ন্যাপকিন প্রয়োজনমাফিক বিতরণ করে। বইমেলায় আগেও এরকম বিভিন্ন জরুরি উপকরণ সৌজন্য হিসেবে বিতরণের ব্যবস্থা ছিল। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করছি।

ইভেন্ট ওয়াশরুমের পাশে বিনামূল্যে প্রয়োজনীয় স্যানিটারি ন্যাপকিনের ব্যবস্থা রাখবে এটাও আমরা নিশ্চিত করেছি।

 

খুলনা গেজেট/এইচ




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!